​হাবিপ্রবির অনেকের ঈদ যেন অম্লান হয়েছে মীরের মৃত্যুতেঃ

মোঃ সোহানুর রহমান শুভ,হাবিপ্রবি।।
কিছু দিন আগেই হাবিপ্রবির রাস্তা রঞ্জিত হয়েছিল এক মেধাবীর পবিত্র রক্তে। সে আর কেউ না,সে মীর।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এগ্রিকালচার লেভেল ২,সেমিস্টার ১ এ অধ্যয়নরত ছিল।

১৬ই জুন বিকাল ৩.৩০ মিনিটে নিজ ক্যাম্পাসের বাসে পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বরণ করেন তিনি। তার এ অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি সাধারণ শিক্ষার্থী।সাথে সাথে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে পুরো ক্যাম্পাসে।এতে পুলিশ বাধা প্রদান ও

মৃত্যুকে তূচ্ছ করে দেখায় এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথে সংঘর্ষ

বেধে যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন সকাল ১০ টায় মীরের নিজ বাসভবনের কবরস্থানে তার দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।পরে ১৯ জুন শোক দিবস ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের আদেশক্রমে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. রুহুল আমিন মহোদয় বলেন, “বাস দূর্ঘটনায় আমাদের প্রাণ প্রিয় একজন ছাত্রকে হারিয়ে আমরা অত্যন্ত শোকাহত। এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাংখিত ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকার অনুরোধ করেন তিনি।”

তার এ মৃত্যুতে আজো শোকাহত হাবিপ্রবি পরিবার।ঈদের আনন্দ যেন সকলের কান্নায় ম্লান হয়ে গেছে। তার বোন আয়শা সিদ্দিকা হানির ফেইসবুক স্টাটাসেও দেখা যায় কান্নার ছাপ।তিনি লিখেন –

“আমার কোন চাওয়াই কখনো পূর্ণ হয়নি…

ভাগ্যের কারণে আর মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা’আলার অশেষ মেহেরবানিতে মূল্যবান যা কিছু পেয়েছি,সেগুলো বেশীদিন স্থায়ী হয় না… অল্প একটু হাসিয়ে চিরস্থায়ী কষ্ট দিয়ে চলে যায়…এমনভাবে যায় যে আর কখনও তা ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়…এমনটা আমার সাথেই কেন হয়..!!”

ঠিক এমনটাই ঘটছে সকল হাবিপ্রবিয়ানদের মনে।দুহাত তুলে শুধু একটাই দোয়া “মীর যেন জান্নাত বাসি হয়”।